অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজায় এক মাসের বেশি সময় ধরে বর্বরোচিতভাবে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত ওই বিক্ষোভ সমাবেশে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে বাংলাদেশি বংশদ্ভূতদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
এ সময় ইসরাইল বিরোধী বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে হাজির হন বিক্ষোভকারীরা। সেই সঙ্গে ইসরাইল বিরোধী লিফলেটও বিতরণ করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে অংশগ্রহণকারীরা আমেরিকা সরকারকে ইসরাইলে সব ধরণের সাহায্য বন্ধের দাবি জানায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় অবস্থিত ৩৬ হাসপাতালের মধ্যে ২২টিতেই সেবা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। জ্বালানির অভাব, ক্ষয়ক্ষতি, হামলা ও অনিরাপত্তায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সেই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন এবং দুই শতাধিক ব্যক্তিকে হামাস ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রেখেছে বলে জানায় ইসরাইল।
গত এক মাস অর্থাৎ, ৭ অক্টোবর থেকে গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬০০টির বেশি শিশু রয়েছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) বলছে, গাজার সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় অন্তত ১০২ জন জাতিসংঘের কর্মী নিহত হয়েছেন।
এদিকে, ইসরাইলকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ান। এটি গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি
Leave a Reply